ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবি থেকে বিনিয়োগ ফেরতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭২ বছর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
  • 129

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া দূর্বল মুনাফার রবি আজিয়াটার শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই টানা হল্টেড বা সর্বোচ্চ সীমায় দর বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে ব্যবসা দূর্বল হওয়ার কারনে কোম্পানিটি থেকে বর্তমান বিনিয়োগই ফেরত পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭২ বছর। যদি শেয়ারটির দর আরও বাড়ে, তাহলে এরচেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হবে। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগে নতুন শেয়ার এবং মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত উভয় দিক থেকেই ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনায় মার্জিন ঋণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রামীণফোনের আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েও দূর্বল ব্যবসার কারনে রবি আজিয়াটা শুধুমাত্র অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় শেয়ার ইস্যু করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ১০ টাকা পাওয়ার যোগ্য মনে করলেও বিনিয়োগকারীরা সেটাকে ৫০ টাকার উপরে নিয়ে গেছে। যাতে করে শেয়ারটি এখন অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে পৌছে গেছে। অথচ ১১ বছর আগে গ্রামীণফোন ৬০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার ৭০ টাকা করে ইস্যু করার সক্ষমতা অর্জন করেছিল।

এরপরেও অনেকে গ্রামীনফোনের মত শক্ত ভিত্তির কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে রবি আজিয়াটার মতো দূর্বল কোম্পানির। গ্রামীণফোনের যেখানে ৯ মাসে ইপিএস ১৯.৮৯ টাকা, সেখানে রবির মাত্র ২৫ পয়সা। এছাড়া গ্রামীণফোন নিয়মিত ১০০ শতাংশের উপরে নগদ লভ্যাংশ দিলেও রবির ১০ শতাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

অনেক বিনিয়োগকারী মনে করছেন তালিকাভুক্তির কারনে কর সুবিধা পেয়ে রবির মুনাফায় বড় উল্লম্ফন হবে। কিন্তু কোম্পানিটির পুরো কর মওকুফ করা হলেও ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৮০ পয়সা। কিন্তু তালিকাভুক্তির কারনে ৫ শতাংশ কর সুবিধা পাবে। যাতে করে ৪০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। সেটা খুব একটা সুবিধা বয়ে আনবে না।

দেখা গেছে, কোম্পানিটির ২০১৯ সালে করপূর্ব মুনাফা হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে হয় ৮০ পয়সা। আর স্বাভাবিক কর হার ৪৫ শতাংশ (টার্নওভার ট্যাক্স ছাড়াই) বিবেচনায় মুনাফা হয় ২০৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা বা ইপিএস ৪৪ পয়সা। আর তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের ন্যায় ৪০ শতাংশ কর হার বিবেচনায় মুনাফা হয় ২২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার টাকা বা ইপিএস ৪৮ পয়সা।

বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিশ্লেষণ একটি অন্যতম হাতিয়ার। যার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় বিনিয়োগ ফেরত পেতে কত সময় লাগবে। এই পদ্ধতিতে রবি আজিয়াটা থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে লাগবে ১৭২ বছর।

দেখা গেছে, ১১ জানুয়ারি লেনদেন শেষে রবি আজিয়াটার শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৫৭.৫০ টাকা। আর কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা। এ হিসাবে বছরে ইপিএস হবে ০.৩৩ টাকা। যাতে করে ৫৭.৫০ টাকার বিনিয়োগ ফেরতে লাগবে ১৭২.৫০ বছর।

তবে কোম্পানির ভিত্তি ছাড়াও অনেক সময় দূর্বল কোম্পানির শেয়ার থেকে কারসাজির মাধ্যমে মুনাফা করা যায়। সেক্ষেত্রে একটি পক্ষ লাভবান হলেও অন্য একটি পক্ষকে বড় লোকসান গুণতে হয়। আর সেই দলে থাকে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। যারা আবার এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারকে দোষারোপ করে থাকে। অথচ তাকে ঝুকিঁপূর্ণ শেয়ার কিনতে কেউ বাধ্য করে না।

এমন ঝুকিঁপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও রবি আজিয়াটা বিনিয়োগকারীদের এখনো আগ্রহে রয়েছে। তবে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন করার জন্য ডিএসই কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে তথ্যও প্রকাশ করেছে।

গত ৫ জানুয়ারি ডিএসই জানায়, রবির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন নেই। ওইদিন লেনদেনের শুরুতে শেয়ারটির দর ছিল ৩৫.৯০ টাকা। যে শেয়ারটি ডিএসইর সচেতন করার পরেও বেড়েছে ২১.৬০ টাকা। তবে সচেতন করার দিনে শেয়ারটি প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ঝুকিঁপূর্ণ রবিতে অতি লোভের কারনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে লাভবান হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। একজন বিনিয়োগকারী আইপিওতে নামমাত্র শেয়ার পেলেও প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৩ লাখ শেয়ার। যে কারনে ১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ওই ৩ লাখ শেয়ারে এরইমধ্যে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা লাভ (আনরিয়েলাইজড) করে ফেলেছেন। অথচ বিনিয়োগ মাত্র ৩০ লাখ টাকা। তারা যখন মুনাফা নেওয়া শুরু করবেন, তখন সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য বেরিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এদিকে নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুকিঁ বিবেচনায় প্রথম ৩০ কার্যদিবস মার্জিন ঋণ বন্ধের আওতায় রয়েছে রবি। এছাড়া কোম্পানিটি পিই হিসাবে ঝুকিঁপূর্ণ হওয়ার কারনেও মার্জিন ঋণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পিই ৪০ এর কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনায় মার্জিন অযোগ্য করার বিধান থাকলেও রবি তার চেয়ে অনেক এগিয়ে। কোম্পানিটির পিই এখন ১৭২.৫০।

উল্লেখ্য, রবি আজিয়াটা ১৯৯৫ সালের ২২ অক্টোবর গঠিত হয় এবং একইদিনে ব্যবসা শুরু করে। আর গ্রামীণফোন গঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১০ অক্টোবর। এই ১ বছর পরে গঠিত হয়েও গ্রামীণফোন এখন বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। আর রবি আজিয়াটা এখনো লোকসান থেকে মুনাফা করতে লড়াই করে যাচ্ছে। অথচ গ্রামীণফোনের থেকে রবির কয়েকগুণ বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে।

আরও পড়ুন…….

রবির বিরুদ্ধে কমিশনে পাওনাদারের অভিযোগ

গ্রামীণফোনের থেকে নিট সম্পদে বেশি সত্ত্বেও ঋণে জর্জরিত রবি

আইপিওকালীন জিপির ২৪৩ কোটি টাকার মূলধনে মুনাফা ছিল ৩০৬ কোটি, রবির ৪৭১৪ কোটিতে?

ইতিহাসের সর্বনিম্ন ইপিএস নিয়ে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন পেয়েছে রবি

গ্রামীণফোনের থেকে ২৬৬১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ নিয়েও ধুকছে রবি
জিপির অর্ধেকের বেশি টার্নওভার রবির, কিন্তু মুনাফা ১ শতাংশেরও কম
সবচেয়ে বড় মূলধনী ন্যাশনাল ব্যাংক আস্থার তলানিতে, এসেছে আরও দূর্বল ব্যবসার রবি

রবি জর্জরিত ৪৪৫ মামলায় : ঝুঁকি কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির
এফআরসির নির্দেশনা অমান্য করে বেশি ইপিএস দেখিয়েছে রবি

বিজনেস আওয়ার/১১ জানুয়ারি, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রবি থেকে বিনিয়োগ ফেরতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭২ বছর

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া দূর্বল মুনাফার রবি আজিয়াটার শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই টানা হল্টেড বা সর্বোচ্চ সীমায় দর বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে ব্যবসা দূর্বল হওয়ার কারনে কোম্পানিটি থেকে বর্তমান বিনিয়োগই ফেরত পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭২ বছর। যদি শেয়ারটির দর আরও বাড়ে, তাহলে এরচেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হবে। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগে নতুন শেয়ার এবং মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত উভয় দিক থেকেই ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনায় মার্জিন ঋণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রামীণফোনের আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েও দূর্বল ব্যবসার কারনে রবি আজিয়াটা শুধুমাত্র অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় শেয়ার ইস্যু করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ১০ টাকা পাওয়ার যোগ্য মনে করলেও বিনিয়োগকারীরা সেটাকে ৫০ টাকার উপরে নিয়ে গেছে। যাতে করে শেয়ারটি এখন অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে পৌছে গেছে। অথচ ১১ বছর আগে গ্রামীণফোন ৬০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার ৭০ টাকা করে ইস্যু করার সক্ষমতা অর্জন করেছিল।

এরপরেও অনেকে গ্রামীনফোনের মত শক্ত ভিত্তির কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে রবি আজিয়াটার মতো দূর্বল কোম্পানির। গ্রামীণফোনের যেখানে ৯ মাসে ইপিএস ১৯.৮৯ টাকা, সেখানে রবির মাত্র ২৫ পয়সা। এছাড়া গ্রামীণফোন নিয়মিত ১০০ শতাংশের উপরে নগদ লভ্যাংশ দিলেও রবির ১০ শতাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

অনেক বিনিয়োগকারী মনে করছেন তালিকাভুক্তির কারনে কর সুবিধা পেয়ে রবির মুনাফায় বড় উল্লম্ফন হবে। কিন্তু কোম্পানিটির পুরো কর মওকুফ করা হলেও ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৮০ পয়সা। কিন্তু তালিকাভুক্তির কারনে ৫ শতাংশ কর সুবিধা পাবে। যাতে করে ৪০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। সেটা খুব একটা সুবিধা বয়ে আনবে না।

দেখা গেছে, কোম্পানিটির ২০১৯ সালে করপূর্ব মুনাফা হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে হয় ৮০ পয়সা। আর স্বাভাবিক কর হার ৪৫ শতাংশ (টার্নওভার ট্যাক্স ছাড়াই) বিবেচনায় মুনাফা হয় ২০৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা বা ইপিএস ৪৪ পয়সা। আর তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের ন্যায় ৪০ শতাংশ কর হার বিবেচনায় মুনাফা হয় ২২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার টাকা বা ইপিএস ৪৮ পয়সা।

বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিশ্লেষণ একটি অন্যতম হাতিয়ার। যার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় বিনিয়োগ ফেরত পেতে কত সময় লাগবে। এই পদ্ধতিতে রবি আজিয়াটা থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে লাগবে ১৭২ বছর।

দেখা গেছে, ১১ জানুয়ারি লেনদেন শেষে রবি আজিয়াটার শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৫৭.৫০ টাকা। আর কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা। এ হিসাবে বছরে ইপিএস হবে ০.৩৩ টাকা। যাতে করে ৫৭.৫০ টাকার বিনিয়োগ ফেরতে লাগবে ১৭২.৫০ বছর।

তবে কোম্পানির ভিত্তি ছাড়াও অনেক সময় দূর্বল কোম্পানির শেয়ার থেকে কারসাজির মাধ্যমে মুনাফা করা যায়। সেক্ষেত্রে একটি পক্ষ লাভবান হলেও অন্য একটি পক্ষকে বড় লোকসান গুণতে হয়। আর সেই দলে থাকে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। যারা আবার এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারকে দোষারোপ করে থাকে। অথচ তাকে ঝুকিঁপূর্ণ শেয়ার কিনতে কেউ বাধ্য করে না।

এমন ঝুকিঁপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও রবি আজিয়াটা বিনিয়োগকারীদের এখনো আগ্রহে রয়েছে। তবে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন করার জন্য ডিএসই কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে তথ্যও প্রকাশ করেছে।

গত ৫ জানুয়ারি ডিএসই জানায়, রবির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন নেই। ওইদিন লেনদেনের শুরুতে শেয়ারটির দর ছিল ৩৫.৯০ টাকা। যে শেয়ারটি ডিএসইর সচেতন করার পরেও বেড়েছে ২১.৬০ টাকা। তবে সচেতন করার দিনে শেয়ারটি প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ঝুকিঁপূর্ণ রবিতে অতি লোভের কারনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে লাভবান হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। একজন বিনিয়োগকারী আইপিওতে নামমাত্র শেয়ার পেলেও প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৩ লাখ শেয়ার। যে কারনে ১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ওই ৩ লাখ শেয়ারে এরইমধ্যে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা লাভ (আনরিয়েলাইজড) করে ফেলেছেন। অথচ বিনিয়োগ মাত্র ৩০ লাখ টাকা। তারা যখন মুনাফা নেওয়া শুরু করবেন, তখন সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য বেরিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এদিকে নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুকিঁ বিবেচনায় প্রথম ৩০ কার্যদিবস মার্জিন ঋণ বন্ধের আওতায় রয়েছে রবি। এছাড়া কোম্পানিটি পিই হিসাবে ঝুকিঁপূর্ণ হওয়ার কারনেও মার্জিন ঋণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পিই ৪০ এর কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনায় মার্জিন অযোগ্য করার বিধান থাকলেও রবি তার চেয়ে অনেক এগিয়ে। কোম্পানিটির পিই এখন ১৭২.৫০।

উল্লেখ্য, রবি আজিয়াটা ১৯৯৫ সালের ২২ অক্টোবর গঠিত হয় এবং একইদিনে ব্যবসা শুরু করে। আর গ্রামীণফোন গঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১০ অক্টোবর। এই ১ বছর পরে গঠিত হয়েও গ্রামীণফোন এখন বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। আর রবি আজিয়াটা এখনো লোকসান থেকে মুনাফা করতে লড়াই করে যাচ্ছে। অথচ গ্রামীণফোনের থেকে রবির কয়েকগুণ বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে।

আরও পড়ুন…….

রবির বিরুদ্ধে কমিশনে পাওনাদারের অভিযোগ

গ্রামীণফোনের থেকে নিট সম্পদে বেশি সত্ত্বেও ঋণে জর্জরিত রবি

আইপিওকালীন জিপির ২৪৩ কোটি টাকার মূলধনে মুনাফা ছিল ৩০৬ কোটি, রবির ৪৭১৪ কোটিতে?

ইতিহাসের সর্বনিম্ন ইপিএস নিয়ে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন পেয়েছে রবি

গ্রামীণফোনের থেকে ২৬৬১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ নিয়েও ধুকছে রবি
জিপির অর্ধেকের বেশি টার্নওভার রবির, কিন্তু মুনাফা ১ শতাংশেরও কম
সবচেয়ে বড় মূলধনী ন্যাশনাল ব্যাংক আস্থার তলানিতে, এসেছে আরও দূর্বল ব্যবসার রবি

রবি জর্জরিত ৪৪৫ মামলায় : ঝুঁকি কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির
এফআরসির নির্দেশনা অমান্য করে বেশি ইপিএস দেখিয়েছে রবি

বিজনেস আওয়ার/১১ জানুয়ারি, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: